স্ট্রবেরি প্লান্ট একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। আকর্ষণীয় বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি অত্যন্ত সমাদৃত। স্ট্রবেরি একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হলেও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। স্ট্রবেরি মৃদ শীতপ্রধান দেশের ফল হলেও উষ্ণম-লীয় অঞ্চলে চাষোপযোগী স্ট্রবেরির জাত উদ্ভাবন করায় দক্ষিণ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। শীত মৌসুমে আমাদের দেশে তেমন কোনো ফল উৎপন্ন না হলেও সাফল্যজনকভাবে স্ট্রবেরি চাষ সম্ভব অপরদিকে বাজারে এটি বেশ উচ্চমূল্যে বিক্রয় হয় বিধায় এর চাষ খুবই লাভজনক। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ২৫টি জেলায় সাফল্যের সাথে স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। বিএআরআই দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রবেরি চাষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে আসছে এবং অদ্যাবধি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বত্র চাষ উপযোগী স্ট্রবেরির তিনটি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে।
জমি তৈরি ও চারা রোপণ : স্ট্রবেরি উৎপাদনের জন্য টবের মাটি পরিষ্কার করে টবে চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে ৩০ গ্রাম-শতাংশ হারে ব্লিচিং পাউডার (হাড়গুরো) ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিলে মাটিবাহিত রোগ জীবাণু নষ্ট হয়। স্ট্রবেরি বেডে অথমা সমতল পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। প্রতি চারা রোপনে ৮-৯ সে.মি. দুরুত্ব রাখতে হবে। আগাম রোপণের জন্য পাতলা এবং নাবি রোপণের জন্য ঘন করে চারা লাগাতে হবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আশ্বিন মাস (মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর) স্ট্রবেরির চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা চলে।
Reviews
There are no reviews yet.